ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৫০ .

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫০
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি ব্লাক স্মিথের উপরে মাইন্ড কন্ট্রোল স্পেল ব্যবহার করেছি। অবশ্য এটাকে স্পেল বলা যায় না। বরং এটা আমার ক্ষমতা। এন্জেলরা অন্য যেকোনো গোত্রের প্রানীদের মাইন্ড কন্ট্রোল করতে পারতো আগের দুনিয়ায়। এই দুনিয়ায় পারে কিনা সেটা আমি জানি না। তবে অনেক কাজের জিনিস এটা। যেহেতু আমি এখন এন্জেল ফর্মে আছি, তাই এটা আমিও ব্যবহার করতে পারবো। এটা দিয়ে যে কাউকে যেকোনো জিনিস করানো যায়। তবে আমার সবকিছু করানোর ইচ্ছা নাই, তারপরও এন্জেল ফর্মে আসার পর কিছু বলা যায় না। এই ফর্মে আসার পর আমি অনেকটা বদলে যায়। আর সেটা মোটেও ভালো বিষয় না। আপাতোতো আমি আমার মানুষের ফর্মে চলে এলাম, কারন সেটা ছাড়া আমি তলোয়ার গুলো নরাতে পারবো না। আমি চাইবো সে কিছু না জানুক কি হচ্ছে তার সাথে। কাজ শেষ হলে তার স্মৃতিও মুছতে হবে। যেটাও আমার এন্জেল ফর্ম করতে সক্ষম।
।।।
।।।
অনেকটা সময় লাগলো পুরো তিনটা তলোয়ারকে একত্র করতে। তিনটাকে গলিয়ে এক করলেই কাজ হয় না। কারন একজন ব্লাক স্মিথই জানেন তলোয়ারের ক্ষমতা অন্য তলোয়ারে নেওয়ার জন্য কি করতে হয়। অনেক ধরনের স্পেল ব্যবহার করতে হয়েছে তাকে, যেগুলো সম্পর্কে আমার কোনো জ্ঞানই ছিলো না। এবং শেষমেষ পুরো তিনটা তলোয়ারকে পুরোপুরি গলিয়ে তিনটা পাত্রে আগুনের মধ্যে রেখে দেওয়া হয়েছে। শুধু তলোয়ার তিনটার হাতল ছাড়া পুরো ব্লেড গলিয়ে তরল করে রাখা হয়েছে। তিনটা তলোয়ারের হাতল এবার ব্লাক স্মিথ হাতে নিলো। এবং সেগুলোর মধ্য থেকে এক্সোনিয়ারটা মধ্যখানে এবং বাকি দুটো দুইপার্শে রেখে সেটাও আগুনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিলো। এবং গরম করে সেগুলো বের করে তিন হাতলের মিশ্রনে নতুন একটা হাতল তৈরী করলো, যেটার আকার অনেকটা মোটা। এবার কিছু ম্যাজিক পাওডার নিক্ষেপ করলো হাতলের উপরে, যেটার কারনে উজ্জ্বল হয়ে গেলো হাতলটা। সব কিছু নারাচরা আমাকেই করতে হচ্ছে, ব্লাক স্মিথ নিজে শুধু হাতুরি দিয়ে বাড়ি দিয়ে সঠিক আকার দিচ্ছে।
।।।
।।।
হাতল তৈরী হয়ে গেলো। এবার গলিত ব্লেড এর তরল আগুন থেকে বের করা হলো। সেগুলোর উপরে এরকম স্পেল দেওয়া হয়েছে যে সেগুলো আগুন পাওয়ার সাথে সাথে গলে পানি হয়ে গেছে। তাছাড়া এক্সোনিয়ার ব্লেড গলানো এতো সহজ নয়। আর ভিরুদা তো আগুনেরই তৈরী। তার উত্তাপে সে নিজে গলে না। ডয়ারফসদের এই স্পেল গুলোও মারাত্মক। যদি তারা চাই তাহলে তারা নিজেরাই একটা রাজ্য খুলে নিতে পারে। অবশ্য তাতে তাদেরই লাভ হবে অনেক।
।।।
।।।
হাতল তৈরী পরে প্রথমে এক্সোনিয়ার ব্লেডের তরল সেখানে দেওয়া হয়। এরপর নিচের সাইডে ভ্যালিরার ব্লেড এবং উপরের সাইডে ভিরুদার ব্লেড। অনেকটা সময় শেষ হওয়ার পর তলোয়ারটা পুরোপুরি শেষ হলো। যেটার আকার দেখেই আমার ভয় করছে। একটা দানবাকৃতির তলোয়ার তৈরী হয়েছে। যেটার ব্লেড অনেক মোটা এবং চওড়া। মাঝখানে একটা ব্লেড রয়েছে, যেটা এক্সোনিয়ার। আর দুই সাইডে ভয়ানক আকারে ভ্যালিরা এবং ভিরুদার মিশ্রন করা হয়েছে। প্রথমে তিনটায় কাটানা ছিলো। কিন্তু এখন এই তলোয়ারটা দেখতে অন্যরকম। দুই সাইডে মাসাডির মতো ভ্যালি এবং ভিরুদার ব্লেড রয়েছে। এবং মাঝ বরাবর লংসোর্ড যেটা মূলত এক্সোনিয়ার ব্লেড দিয়ে তৈরী। মূল কথা দেখতে মারাত্মক লাগছে তলোয়ারটাকে। তবে এটাকে দেখতে থাকলেই হবে না আমার। আমাকে টেস্টও করতে হবে। আমি মানুষের ফর্মে ছিলাম। তাই মনে হচ্ছে উঠাতে কোনো সমস্যা হবে না। তাই তারাতারি করে ডান হাত দিয়ে উঠানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু ভারের কারনে সেটা হালকা উঠলেও পুরোটা উচু করতে আমি পারছি না। বাম হাত দিয়েও একই অবস্থা। যেহেতু এটা একটা হেভি সোর্ড, আর এরকম তলোয়ার দুই হাত দিয়েই উঠাতে বা ধরতে হয় তাই আমি দুই হাত দিয়ে ধরলাম হাতলটা। হাতলটা অনেক বড়, এবং একদম মাথায় দুই সাইডে দুটো ড্রাগনের লোগোও রয়েছে, যেটা মারাত্মক লাগছে দেখতে। আমি দুই হাত দিয়ে ধরার পর তলোয়ারটা একদম হালকা হয়ে গেলো। মনেই হচ্ছে না কোনো কিছু আছে আমার হাতে। যেটা একদম সুদর লাগছে আমার কাছে। সাধারনত হেভি সোর্ডগুলো দুই হাতেই চালাতে হয়। তাই এটা দুই হাতে চালানোতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমি আরেকটা জিনিস টেস্ট করার চেষ্টা করলাম, যেটা হলো এটা অদৃশ্য হয় কিনা এক্সোনিয়ার মতো। যেহেতু এক্সোনিয়ার নাম বললেই আমার হাতে চলে আসতো সেটা তাই আশা করা যাচ্ছে এক্সোনিয়ার কথা বললেই এইটাও আমার হাতে চলে আসবে। প্রথমে দেখা যাক এটা অদৃশ্য হয় কিনা। আমার দুইহাত থেকে আমি তলোয়ারটা ফেলে দিলাম নিচে। প্রথমে ভেবেছিলাম সেটা নিচে পরবে, কিন্তু সেটা না হয়ে একদম অদৃশ্য হয়ে গেলো। এবার আমি এক্সোনিয়ার কথা বলতেই আমার হাতে তলোয়ারটা চলে আসলো। আমি আপাতোতো কিছুটা নিশ্চিত হলাম যে তলোয়ার নিয়ে আমার কোনো ঝামেলা পোশাতে হবে না।
।।।
।।।
এই তলোয়ারটার কারনে এখন আমি অনেকটা সহজ ভাবে কোথাও যেতে পারবো, সেই সাথে নিজের রূপটাও যে কোনো সময় যেকোনো ফর্মে পাল্টাতে পারবো। তখন আর তলোয়ার ভারি হওয়ার চিন্তা থাকবে না। যাইহোক আপাতোতো আমি আবার এন্জেল ফর্মে চলে আসলাম, এবং সামনে থাকা ব্লাক স্মিথের মাথায় হাত দিলাম। তার ব্রেইন থেকে আজকের স্মৃতি আমি মুছে দিলাম। আপাতোতো নতুন তলোয়ার অদৃশ্য আছে, সেটার দরকার না হলে সেটা অন্য একটা স্পেসে চলে যায়। আর যখন আমার দরকার হয়, তখন সেটার নাম উচ্চারন করলেই আমার হাতে সেটা চলে আসে। এরকম সকল তলোয়ার হলে তো কাউকে তলোয়ার বহন করতেই হতো না। সে তাদের ইচ্ছামতো তলোয়ার বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিতে পারতো। যাইহোক আপাতোতো আমি ব্লাক স্মিথকে ঘুম পারিয়ে দিলাম। এবং নিজেও রাতটা এ্যালকোর্টে কাটিয়ে দিলাম। ইচ্ছা ছিলো এখানে আসার, তবে সেটা অনেক পরে, যাইহোক একটা কাজ হয়ে গেলে জিনিসটা অনেক সহজ হয়ে যায়।
।।
।।
।।
আমি সকালে খুব তারাতারি উঠলাম। উঠে তেমন কিছু দেখতে পেলাম না, বরং রুমটাকে কালকে অনেক বাজে অবস্থা করেছি, সেটাই দেখা যাচ্ছে। আমি এ্যালকোর্ট থেকে উড়ে ইগড্রোলিয়ার ক্যাপিটালে যেতে পারবো না। আমার আপাতোতো যে স্পিড তাতে আমি কয়দিনে ইগড্রোলিয়াতে যাবো তার ঠিক নাই। আবার আমার দিক নিয়ন্ত্রন করার বিষয়ে তেমন কোনো জ্ঞান নেই। তাই ইগড্রোলিয়ার দিকে রওনা দিয়ে আমি হিমারারে পৌছে যেতে পারি। আপাতোতো আমার উড়তে মন চাচ্ছিলো। তবে সেটা অন্য সময়ের জন্য রেখে দিবো। আমি আমার তলোয়ারটার ব্যবহার করতে চাই। কালকে যেহেতু এখানে টেলিপোর্ট হয়ে আসতে পেরেছি, তাই ইগড্রোলিয়াতে যাওয়া কোনো ব্যাপার হবে না৷ কিন্তু প্রথমে তলোয়ারটার সুন্দর একটা নাম দিতে হবে। তলোয়ারটা আমার ফুল ডিম্যান ফর্মের সাথে অনেকটা বানাবে। কারন তখন আমার আকারও বৃদ্ধি পাবে, আর এটার আকার তো বিশালই। তলোয়ারটা আমার সামনে রাখলে সেটার ব্লেডই আমার থেকে বড়। আর তার বিশাল হাতল তো আছেই। যেই দেখবে মনে করবে অনেক ভারী তলোয়ার। ভারী তো বটেই, তবে সেটা আমার এক হাতের জন্য। দুই হাত দিয়ে একদম তুলার মতো মনে হয়। আমিও দেরী না করে দুটো কাট দিলাম হাওয়ার মধ্যে, তবে কাট দেওয়ার সময়, ব্লাক স্মিথের দেওয়াল চলে আসে, যেটা আমার এক আঘাতেই ভেঙে যায়৷ আমি অবশ্য এটার আশা করি নি। অবশ্য জায়গাটা আমার এই তলোয়ার চালানোর জন্য মোটেও সুবিধার নয়। আমার অনেক বড় একটা জায়গা লাগবে। সেটার জন্য বাইরে যেতে হবে। তাই দেরী না করে আমি আমার তলোয়ারটা কাধে তুলে নিলাম। এবং হাটতে হাটতে যাচ্ছি উপর। এরমাঝে ভ্যালিরা এবং ইগড্রাসিলের কথা শুনতে পেলাম আমি,
.
–এ কি হাল করেছো আমাদের সুন্দর শরীরের? এখন তো পুরো মনস্টার মনস্টার ফিল আসছে।(ইগড্রাসিল)
.
–তাহলে জ্ঞান ফিরেছে তোমাদের? ইদানিং তোমাদের কোনো খোজ পাওয়া যায় না। হানিমুনে ছিলে নাকি?(আমি)
.
–এটা কিরকম কথা? বড়দের এরকম কথা জিজ্ঞেস করতে নেই।(ভ্যালিরা)
.
–না প্রথমে আমার আকার ছিলো একটা কাটানা কিন্তু এখন একটা মাসাতি হয়ে আছি, যেটা মোটেও সুন্দর লাগছে না।(ইগড্রাসিল)
.
–তো যখন মন চাইবে আকার পাল্টে নিবে।(আমি)
.
–আমরা আমাদের আকার পাল্টাতে পারলে তুমি তো আমাদের এরকম রূপ দিতে না।(ভ্যালিরা)
.
–ব্লাক স্মিথের স্মৃতি থেকে একটা ভয়ানক স্পেল আমার কাছে এসেছে। যেটা ড্রাগন অস্ত্রের জন্যই শুধু। যেটার মাধ্যমে তোমাদের রূপ চেন্জ করা ব্যাপার না।(আমি)
.
–কিভাবে কাজ করে সেটা?(ইগড্রাসিল)
.
–সময় হলে ঠিকই দেখতে পারবে। আপাতোতো তোমাদের একটা নাম দেওয়া প্রয়োজন।(আমি)
.
–তোমার বলতে সুবিধা হয় এরকম একটা নাম দাও আমাদের(ভ্যালিরা)
.
–ঠিক আছে। আজ থেকে তোমাদের তিনজনকে একত্রে আমি এক্সোভিলিরা বলবো। যেখানে তিনজনের নামের সঠিক ব্যবহার হয়েছে।(আমি)
.
–এখানে আমার নাম কোথায়?(ইগড্রাসিল)
.
–কেনো ভি দ্বারা তোমাকেই বোঝাতে যাচ্ছি।(আমি)
.
–আমার নাম ইগড্রাসিল। যেখানে কোনো ভি শব্দ নেই।(ইগড্রাসিল)
.
–ঔ হলো একটা। ধরে নাও ভি তোমারই নাম। ভ্যালিরা তুমি বলো নামটা কেমন হয়েছে?(আমি)
.
–অনেক সুন্দর নাম। আমি তো ভাবতেই অবাক হচ্ছি আমার নাম ইগোর পাশে।(ভ্যালি)
.
–ইগোহহ!(আমি অবাক হলাম)
.
–ভ্যালি তোমাকে কতবার বলেছি আমার ঔ নাম ব্যবহার না করতে।(ইগড্রাসিল)
.
–সরি, আসলে ভুলে যায়।(ভ্যালি)
।।।
।।।
দুজনের অনেক আলাপ আলোচনা শোনার পরে আমি চলে আমার জেট ক্ষমতার মাধ্যমে উড়ে আকাশে চলে আসলাম। অনেকটা উপরে চলে এসেছি, এখান থেকে নিচে আমাকে কেউ দেখবে না। আমি আমার গ্রাভিটি কনট্রোল করলাম। এবং নিজেকে জিরো গ্রাভিটিতে নিয়ে আসলাম। এখন হাওয়ায় ভাসতে লাগলাম। হাওয়ার উপরেই আমি জোরে দুটো স্লাইস দিলাম। এখন আমার মাথায় অন্য কোনো চিন্তা ছিলো না। শুধু আমি কোথায় যাবো, সেই চিন্তাই করছিলাম। আমার একটা পোর্টাল খুলেছে, আমার চিন্তা ইগড্রোলিয়াতেই ছিলো। তবে কোথায় যাবো সেই চিন্তা করতে পারি নি। আর আসলেই পোর্টাল এর ওপারে কোথায় পৌছাবে সেটাও জানি না। দেখা গেলো আমি সোজাসুজি রাজার সামনে গিয়ে বের হলাম। এরকম চান্সও হতে পারে। তাই আমি তলোয়ারটা আপাতোতো উধাও করে দিলাম। এবং নিজের এন্জেল ফর্মে চলে আসলাম। আপাতোতো ইগড্রোলিয়াতে সবাই এন্জেল এবং ডেভিল দেরকে অনেক ভয় পায়, তাই আমি একজন এন্জেল হয়ে সেখানে গেলে কিছু হবে না আমার মতে। চেহারা আর কয়জন আমার দেখেছে, আমি সব সময় মাস্কই ব্যবহার করেছি। মাস্কেই আমাকে প্যালেসের সবাই চিনে।
।।।
।।।
আমি পোর্টালে ঢুকতে যাবো ঠিক সেইসময় একটা সাদা দড়ি আমার পেটে আটকে গেলো। যেটা আমাকে নরতেই দিচ্ছে না। আমি হাতকে পেটের সাথেই পেটে দিয়েছে, যার কারনে নরতেও পারছি না। এদিকে আমার পোর্টালও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে। এই ফর্মে আমি এক্সোভিলিরাকে ও ব্যবহার করতে পারবো না। কেনো যে এন্জেল ফর্মে যেতে গেলাম সেটাই বুঝতে পারছি না। যাইহোক পিছনে ফিরে দেখার চেষ্টা করলাম, যে কে আমাকে বাধার চেষ্টা করছে। পিছনে ফিরে অনেকটা উপরে লক্ষ করলাম এন্জেল রানী আফরিয়েল তার বড় চারটা ডানা মিলিয়ে উড়ছে, এবং সেই তার হাত থেকে একটা দড়ি দিয়ে আমাকে বেধে রেখেছে৷ এতো সুন্দরী রমনী দেখে এখন আর দড়ি থেকে ছুটতে মন চাচ্ছে না। বরং এই একই দড়িতে দুজনে বন্ধী থাকার ইচ্ছা হচ্ছে। আমার মানুষ সত্ত্বার চেতনার উপরে এখন রাগ হচ্ছে। এতো সুন্দরী একটা রানীকে সে বিয়ে না করে থাকতে পারে। আমার গ্রাভিটি কন্ট্রোলও আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে, যেটার কারনে আমি ঝুলতে লাগলাম দড়িতে। যেটার ফলে কষ্টকর হচ্ছে রানীকে দেখতে। দেখা যাক তার সাথে গল্প করতে পারি কিনা।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কোথাও ভুল হলে জানাবেন। কেমন হলো সেটাও জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here