ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৫১

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫১
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
এটা কিরকম দড়ি সেটা বুঝতে পারছি না। আমি নরাচরা করতেই পারছি না। পিছনে তাকিয়ে দেখতে পেলাম সেটা এন্জেল রানী আফরিয়েল এর। আর যেহেতু আমি এন্জেল সত্ত্বায় আছি তাই তাহার সাথে কথা বলার আগ্রহ আমার বেড়ে গেলো। আমার গ্রাভিটি স্পেলের কাজ শেষ হওয়ার ফলে আমি দড়িতে ঝুলতে লাগলাম, যেটা রানীকে দেখতে সমস্যা করছে। তাই আমি আর সময় নিলাম না। বরং আমি আমার জোর খাটালাম। এতোক্ষন অনেকটা দূরে নিয়ে এসেছে রানী আমাকে উড়িয়ে। কারন নিচে কোনো শহর দেখতে পাচ্ছি না। বরং নিচের দিকে বন দেখা যাচ্ছে। আমি আমার পিঠের ছয়টা ডানা বের করলাম। যেটার ফোর্সের আমাকে বাধা দড়িটা ছিড়ে গেলো। এবং আমি অনেক ফোর্সে নিচের দিকে পরতে লাগলাম। আমার পিঠ থেকে ছয়টা ডানা বের হলেও আমি উড়তে পারছি না। তবে আপাতোতো আমাকে উড়তে হবে না। আপাতোতো অনেকটা নিচে চলে আসলেও, একটা পাখির ঝাক দেখতে পারলাম। যেটা আমার নিচ দিয়েই উড়ে যাচ্ছে। পাখিগুলোর আকার অনেকটা বড়। তাই আমার ভার নিতে তাদের কোনো সমস্যা হবে না। আমি নিচে পরে একদম নিচে দুটো পাখির পিঠে পা দিলাম। এবং বিশাল একটা লাফ দিলাম উপরের দিকে, যেটা পাখিদের নিচে পাঠিয়ে দিলো, এবং আমি অনেক ফোর্সে রানীর দিকে উড়তে লাগলাম। রানী আমাকে এভাবে উড়ে আসতে দেখে অনেকটা অবাক হলো।
।।।
।।।
আমি সরাসরি উড়ে রানীর কাছে চলে আসলাম। এবং রানী আফরিয়েলকে নিচে কোলে তুলে নিলাম। এবং আবার সোজা নিচের দিকে পরতে লাগলাম। নিচে যে স্পিডে পরছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে অনেকটা গভীরে গর্ত করে নিচে যাবো আমি, আর তাতে নিজেরও রানীর সমস্যা হতে পারে। তাই আমি আরেকটা প্লান করেছি। নিচে পরতে সময় রানী অনেকটা ভয় পেয়ে গেলো। যার কারনে সে আমার বুকের মধ্যে মুখ লুকিয়ে ফেললো। আমি মাটি থেকে কিছুটা উপরে থাকার পরে টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করলাম। অবশ্য আমার মানুষ ফর্মে আমি এই স্পেল ব্যবহার করতে পারি না। তবে এই এন্জেল ফর্মে সেটা একদম সহজ ব্যাপার।
।।।
।।।
আমি টেলিপোর্ট হয়ে সোজা একদম নিচে চলে আসলাম। মাটিতে দাড়ানোর পর রানী আফরিয়েল আমার দিকে মুখ তুলে তাকালো।
.
–রানী আফরিয়েল এরকম ফাইটিং তো আপনাকে বানায় না। আপনার মতো সুন্দরীদের তো এভাবে পুরুষদের বাহুর মধ্যেই মানায়।(আমি)
.
–…..(রানী লজ্জা পেয়ে লাল হয়ে গেলো)
।।।
।।।
আমিও তাকে নিচে নামিয়ে দিলাম।
.
–তো আমাকে দড়ি দিয়ে বাধার উত্তর জানতে পারি?(আমি)
.
–দুনিয়ায় কিছুই ঠিক হচ্ছে না। যেটার সব কিছুই তোমার জন্য হচ্ছে বা হবে।(রানী)
.
–চাইলে তো অনেক কিছুই হবে, এমন সুন্দরীর স্পর্শ তো আর রোজ রোজ পাওয়া যায় না।(আমি)
.
–অনেক বদলে গেছো আগের থেকে মনে হচ্ছে, নাকি তোমার এন্জেল ফর্মের জন্য এরকম।(রানী লজ্জায় একদম লাল হয়ে)
.
–জানলেন কিভাবে আমার এন্জেল ফর্মের ব্যাপারে?(আমি)
.
–আমাদের লিজেন্ড এর এটাও লিখিত ছিলো, যে গডহ্যান্ড ব্যবহার করতে পারবে, সে বহুরূপীর অধিকারী হবে।(রানী)
.
–এসব লিজেন্ড লেখেছে কে?(আমি)
.
–সেটা আমি বলতে পারি না। তবে ধারনা করা হয়, যারা এসব লিখেছিলো, তারা ভবিষ্যতের অনেক কিছু দেখতে পারতো।(রানী)
.
–ওওও। তাহলে ইতিহাসে কি লিখা ছিলো আমার সাথে এন্জেল রানীর বিয়ে হবে?(আমি)
.
–সেটা তো তুমি তখন রাজি হলেই হয়ে যেতো।(রানী)
.
–বিয়ে আজকাল করে নাকি, প্রথমে তো পিজিক্স, কেমেস্ট্রি, বায়োলজি ঠিক করতে হবে।(আমি)
.
–এগুলো কি?(রানী)
.
–এগুলো পুরাতন মানুষদের ভালোবাসার কিছু ধাপ। প্রথমে আমরা ধাপ বিনিময় করি চলুন।(আমি)
।।।
।।।
রানী এমনিতেই আমার এই ফর্মের সাথে কমফোর্ট ফিল করছে না, তার উপরে আমার কথায় সে লজ্জায় লালই হচ্ছে শুধু। তাই তাকে আর টিজ করলাম না। বরং আমি তাকে নিয়ে একটা উচু গাছের ডালে উঠলাম এক লাফ দিয়ে। যেখানের একটা ডালের উপরে আমি বসলাম এবং আমার পাশেই রানীকে বসিয়ে দিলাম। দুজনে বসে অনেকক্ষন গল্প করলাম। যেটা অনেকটা রোমান্টিক দিকে যাচ্ছে। এখানে রানীর সাথে সময় কাটাতে মন চাচ্ছে, কিন্তু আমার জরুরী কিছু কাজ আছে, তবে এই ফর্ম থেকে বের না হলে আমি এখান থেকে যেতেই পারবো না। তাই আমি সাথে সাথে আমার মানুষ ফর্মে চলে আসলাম।
।।।।
।।।।
যেটা দেখার পর রানী অনেকটা কমফর্ট ফিল করলো। এবার আমি কিছুটা দূরে সরে বসলাম তার থেকে।
.
–আসলেই তোমার ফর্ম দুটোর সাথে তোমার পারসোনালিটি পুরো চেন্জ হয়ে যায়। তবে আমার তোমার মানুষ ফর্মটাকেই ভালো লাগে।(রানী)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–তো যেটার জন্য আমি এখানে এসেছিলাম সেটা এখন বলি।(রানী)
.
–হ্যা বলুন।(আমি)
.
–দুনিয়াতে নানা রকম ঝামেলা দেখা যাচ্ছে। প্রথমত কিছু মারাত্মক ম্যাজিক পাওয়ার অনুভব করা যাচ্ছে, যেগুলো ডেভিল কিং এর থেকেও ভয়ঙ্কর। তারা যদি দুনিয়ার জন্য ক্ষতিকর হয় তাহলে আমাদের একসাথে তাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে।(রানী)
.
–হ্যা। আমি কিছু ম্যাজিক পাওয়ারের মধ্য থেকে বলতে পারবো একটা আমাদের জন্য ভয়ানক হতে পারে।(আমি)
.
–সেটা কার?(রানী)
.
–তিনজন এই দুনিয়াতে এসেছে যারা পুরো দুনিয়াকে কাপিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, তাদের মধ্যে একজন গড অফ থান্ডার থর। আরেকজন দা ভ্যাম্পায়ার ড্রাকুলা, যাকে ভ্যাম্পায়ার গডও বলা হয়। এই দুটো নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে না সেটা গ্যারান্টি আমি দিতে পারবো।(আমি)
.
–আরেকজন কে?(রানী)
.
–তার নাম লোকি, তাকে মিথ্যা এবং চালাকির গড বলা হয়। তার কারন একটাই, তার মতো মিথ্যা কেউ বলতে পারে না, এবং তার মতো চালাকি কেউ করতে পারে না।(আমি)
.
–এটা মোটেও সুবিধার বিষয় মনে হচ্ছে না। আচ্ছা ঠিক আছে, তোমাকে কোথাও যেতে হবে?(রানী)
.
–হ্যা। ইগড্রোলিয়াতে।(আমি)
.
–ঠিক আছে, আমি তোমাকে ক্যাপিটালে পৌছিয়ে দিয়ে আসছি। পরে এক সময় আবার আসবো তোমার সাথে কথা বলতে।(রানী)
।।।।
।।।।
রানী আমাকে নিয়ে টেলিপোর্ট হয়ে সোজা ইগড্রোলিয়াতে চলে আসলো। এবং আমাকে ক্যাপিটালো ছেড়ে দিয়ে চলো গেলো নিজে। আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না কি হচ্ছে। আমার মাথা ঘুরছে অনেকটা। আমি কিছুক্ষন পরে বুঝতে পারলাম আমার সাথে কি হয়েছে, রানী আমার মাইন্ড কন্ট্রোল করে সেখান থেকে সব কিছুর উত্তর বের করে নেই। আমি মানুষ ফর্মে আসার পরই রানী সেটার সুযোগ নিয়ে আমার থেকে অনেকটা তথ্য বের করে নেই। হয়তো সে জানতো এমনি জিজ্ঞেস করলে আমি অন্য একটা উত্তর দিতাম। তাই সে সেটার সুযোগ নিয়েছে।
।।।।
।।।।
মাথা ব্যথাটা কিছুটা কমার পর আমি শহরের মধ্যে হাটতে শুরু করলাম। ক্যাপিটালের চিহ্ন বদলে গেছে এখান থেকে আমার যাওয়ার পর থেকে। কারন দেওয়ালে আমার এবং থরের ছবি টানানো। যেখানে পুরো ক্যাপিটালের সব থেকে মারাত্মক আসামী বলা হয়েছে। আমার মাস্ক পরা ছবি সেখানে রয়েছে, এবং কিছু তথ্য দেওয়া আছে। তাই প্রথমত আমাকে এখন আমার মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। মাস্কের কাপড় গলাতে ছিলো, যেটা আমি আবার খুলে ব্যাগে রেখে দিলাম।
।।।
।।।
ক্যাপিটালের যে অবস্থা তাতে আমার মনে হচ্ছে না আমি প্যালেসে আপাতোতো সুরক্ষিত। তাই আপাতোতো সময়ের জন্য আমাকে গোপন থাকতে হবে। আমার চেহারা আমি মাস্ক ছাড়া গোপন রাখতে পারবো না। তাছাড়া আমার শরীরের অনেক তথ্য দেওয়া আছে ছবিতে, যেটা আমাকে খুজতে অনেক সাহায্য করবে। আমি আপাতোতো হ্যারিরা যেখানে থাকে সেখানে যাচ্ছি। বেশীক্ষন সময় লাগলো না। সেই গলিতে চলে আসলাম, যেখান দিয়ে হ্যারিদের গোপন বাসায় যেতে হয়। তবে আমি অনেকক্ষন যাবৎ খেয়াল করেছি সাত জনের মতো আমার পিছু নিয়েছে অনেকক্ষন হলো। এতোক্ষন সাধারন লোক ছিলো বলে আমি কিছু করতে পারি নি, তবে এই গলিতে কেউ না থাকার কারনে তাদের কিছু একটা ব্যবস্থা করতে হবে। আমি এখানে আমার সত্ত্বার ক্ষমতা ব্যবহার করে দেখতে চাই, যেহেতু আমি এন্জেল সত্ত্বার ক্ষমতা সম্পর্কে পুরোটাই জানি এখন, তাই সেটা ব্যবহার করার মানে হয় না। বরং আমি আমার ভ্যাম্পয়ার ফর্মে চলে আসলাম। পিঠের পাখা বের হওয়ার সাথে সাথে আমার উপরে পিছন থেকে হামলা করলো একজন। যে দশটা ছোট চাকু ছুড়ে মেরেছে আমার দিকে।
।।।
।।।
আমি লাফ দিলাম। এবং পিছের দিকে একটা ফ্লিপ দিলাম। যেটা আল্ট্রা স্পিডে দিয়েছি, যার ফলে সবগুলো ছুড়ির আঘাত আমি এরিয়ে যেতে পেরেছি। এরপর একটা পিছন থেকে দুজন আমার একদম কাছে চলে আসলো। যাদের হাতে আমি কাটাযুক্ত ফিঙ্গারবেসলেট দেখতে পেলাম। যেটার মাথায় বিষ লাগানো বোঝা যাচ্ছে, সেটা আমার শরীরে একটা লাগলেই আমি এই দুনিয়া থেকে উপরে উঠে যাবো। দুজনে এসেই আমাকে ঘুষি এবং লাঠি মারতে লাগলাম। আমি দুজনকেই খুব সহজে এরিয়ে যাচ্ছি। আপাতোতো আমি সব আঘাত খুব স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, মনে হচ্ছে আমার আল্ট্রা স্পিড অনেক আকারে বেরে গেছে। এরকম ফিল আসছে যে আমি একাই এখানে সবথেকে দ্রুত আর তাদের স্পিড কচ্ছপের মতো। যাইহোক আমি আমার পা উচু করে দুজনের মাথার উপরে কিক দিলাম দুটো। তারা দুটো কিক খেয়ে নিচে পরে গেলো। ফ্লোর ভেঙে তাদের মাথা ঢুকে গেছে নিচে, যেটা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে না এই আঘাতের পর তারা বেঁচে আছে।
।।।
।।।
আমার এই ফর্মগুলোর ক্ষমতা আসলেই মানুষ ফর্মের থেকে অনেক বেশী লাগছে। এগুলো আসলেই এই দুনিয়ার সাথে মিল নেই। আমার আগের দুনিয়ায় সত্ত্বারগুলোর ক্ষমতা লেভেলে নিলে সর্বশেষে মানুষ সত্ত্বা। এবং তার উপরে ভ্যাম্পায়ার, তার উপরে ডিম্যান এবং সবচেয়ে উপরে ডেভিল এবং এন্জেল। আমার ভ্যাম্পায়ার সত্ত্বার ক্ষমতা কম হওয়ার কারন হলো আমি আগের দুনিয়ায় ভ্যাম্পায়ার হয়েছিলাম এনার ব্লাড খাওয়ার ফলে। ভ্যাম্পায়ারদের মধ্যে দুটো বংশ ছিলো আগের দুনিয়ায়। একটা রয়েল ব্লাড। আরেকটা সাধারন ব্লাড। রয়েল ব্লাড হচ্ছে তারা যারা ভ্যাম্পায়ারদের আসল রক্ত বহন করে, এরাই ভ্যাম্পায়ার গডের পদবি অর্জন করে। আর সাধারন ব্লাড এর ভ্যাম্পায়ার হলো তারা, যারা রয়েল ব্লাড ভ্যাম্পায়ার এর রক্ত খাওয়ার ফলে ভ্যাম্পায়ার হয়। অবশ্য এই রক্ত খেয়ে ভ্যাম্পায়ার হওয়ার কাজটা এই দুনিয়ায় আর হয় না। এই রিয়েলিটিতে অনেক কিছু বদলে গেছে। যেহেতু আমার ভ্যাম্পায়ার সত্ত্বা সাধারন ব্লাড এর, এরজন্য আমি ড্রাকুলার মতো তেমন ক্ষমতা অর্জন করতে পারবো না। তবে সেটা ছাড়াও আমার ক্ষমতা গুলো এদের কাছে অন্য লেভেলে এখন।
।।।
।।।
কারন আমি তাদের প্রতিটা আঘাত খুব স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারছি। আর এজন্য আমার এড়ানো খুব সহজ হচ্ছে। যাইহোক দুটোর অবস্থা আমি টাইট করে দিয়েছি। এবার আমি আমার হাতটা কিছুটা কাটলাম ডান তালুর দিকে। কামড় দিয়েছি আমার লম্বা দাঁত দিয়ে। কামড়ের পরে চুপচুপ করে রক্ত পরতে ছিলো নিচের দিকে, যেটা দিয়ে আমি ব্লাডের তলোয়ার হয়ে গেলো আমার হাতে। ভ্যাম্পায়াররা তাদের রক্ত দিয়ে এভাবে ব্লাড সোর্ড বানাতে পারে। বাকি আছে মাত্র পাঁচজন, যাদের চারজনকে আমি একদম আল্ট্রা স্পিড ব্যবহার করে সাথে সাথে গলা নামিয়ে দিলাম। কেনো জানি না এই ফর্মে আসলো হত্যা করলে অনেক মজা লাগে আমার। মানুষ ফর্মে কাউকে হত্যা করতে গেলেই হাতটা কিছুটা কাপে, কিন্তু এখন আমি আমার তলোয়ারে থাকা তাদের রক্ত আমার জিহ্বা দিয়ে স্বাধ দিয়ে দেখলাম। যেটার পরে আমার ক্ষমতা আরো বেড়ে গেলো। লাস্ট একজন ছিলো, যার রক্তের ঘ্রান এতোক্ষন আমাকে পাগল করে দিচ্ছে। এটাই প্রথম আমার উপরে আঘাত করেছে, তাই এটাকে সবার শেষে আমি রেখে দিয়েছি। ওর রক্ত পান করার অনেক ইচ্ছা হচ্ছে। কারন ওর রক্তের ঘ্রান আমাকে এই ফর্মে আসার পর থেকে পাগল করে দিচ্ছে। আমি ওর দিকে আল্ট্রা স্পিডে এগিয়ে গেলাম। ও আমার দিকে ওর ছুড়িগুলো আবার ছুরতে গেলো। কিন্তু তার আগেই আমার তলোয়ার ওর গলার কাছে চলে গেলো। হুড পরা ছিলো বলো আমি ভালোভাবে দেখতে পারি নি। তবে সে একজন মেয়ে ছিলো। আর সে একজন মানুষ এটা দেখে আমার চোখ উজ্জল হয়ে আসলো। আমার তলোয়ার তার গলায় লাগার কারনে, কিছুটা কেটে গেছে, যেটা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। আর রক্তের ঘ্রাণ পেয়ে আমি আর ঠিক থাকলাম না। আমি তার ডান পাশের গলায় একটা কামড় বসিয়ে দিলাম। কিছুক্ষন রক্ত পান করলাম। হয়তো এই প্রথম কোনো মানুষের রক্ত পান করলাম। তাই থামতে মন চাচ্ছে না। বেশ কিছুক্ষনের মধ্যে মেয়েটা বেহুস হয়ে গেলো। যাকে আমি আর হত্যা করলাম না। তার অনেক ব্লাড শেষ হয়েছে, যার কারনে বলা যায় না মারাও যেতে পারে। তবে আশা করবো যেনো সে মারা না যায়।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here