ভ্যাম্পায়ার_কুইন# #সিজন_2# পর্বঃ৫২

#ভ্যাম্পায়ার_কুইন#
#সিজন_2#
পর্বঃ৫২
.
.
লেখকঃহৃদয় বাপ্পী
.
.
আমি একজন ভ্যাম্পায়ার হওয়ার অনুভূতি অনুভব করলাম আজ প্রথম। যেটা খুবই ভয়ানক। আমার এন্জেল ফর্মে গেলে সেটা আমাকে মেয়েদের প্রতি দুর্বল করে, তবে এই ভ্যাম্পায়ার ফর্মে আসলে আবার রক্তের প্রতি দুর্বল করে। আমি সময় নষ্ট না করে গোপন দরজা দিয়ে হ্যারিদের গোপন রুমের মধ্যে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করার পূর্বে আমি আমার মানুষ ফর্মে আবার চলে আসলাম। আমি প্রতিনিয়ত আমার ফর্মগুলো চেন্জ করে দেখার চেষ্টা করছি তার মধ্যে কোনো লিমিট আছে কিনা। আমি হাটতে হাটতে বসার রুমের মধ্যে চলে আসলাম, যেখানে হ্যারি সোফায় শুয়ে আছে। আমি হ্যারিকে উঠালাম। হ্যারি আমাকে দেখতে পেয়ে অবাক এবং খুশি দুটোই হলো।
.
–আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। তোমার কোনো খোজই পাওয়া যাচ্ছিলো না। আবার সেই সাথে পুরো রাজ্যে তোমার পোস্টার ছড়িয়ে পরেছে, যেটা পরিস্থিতি আরো খারাপ বানিয়ে দিচ্ছে আমাদের জন্য।(হ্যারি)
.
–তোমাদের খবর কি? মিলিটারি সেনা কি এখনো তোমাদের খুজছে?(আমি)
.
–আপাতোতো আমাদের বিষয়টা সেনারা তেমন দেখছে না। তাছাড়া এখন আর গুপ্তঘাতক আমাদের পিছুও নেই না।(হ্যারি)
.
–একটু আগেই সাতজন আমার পিছু নিয়েছিলো। যাদের মধ্যে একজন বাদে সবাইকে হত্যা করতে হয়েছে। বাকি একজন এর অবস্থাও তেমন ভালো না। হয়তো মারা যাবে, তবে বাচলেও মনে হয় না ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারবে।(আমি)
.
–তোমার তাকে বাচিয়ে রাখা মোটেও ঠিক হয় নি৷ যদি তোমার ব্যাপারে কোনো খোজ দিয়ে দেই বাকিদের, তাহলে সমস্যা হতে পারে।(হ্যারি)
.
–এরকম কিছুই হবে। লুসি এবং লুসানাকে দেখতে পাচ্ছি না যে?(আমি)
.
–লুসি এবং লুসানা প্যালেসে গিয়েছে প্রিন্সেস এলিহার সাথে কথা বলতে। প্রিন্সেস এলিহা জরুরী কাজের জন্য আর্কাইবে লুসি এবং লুসানার জন্য একটা চিঠি পাঠিয়েছিলো, যেটা পড়ার পর দুজনে কিছু না জানিয়েই প্যালেসে চলে যায়।(হ্যারি)
.
–এটা তো কোনো চাল ও হতে পারে রাজার। এভাবে প্যালেসে সরাসরি যাওয়া ঠিক হয় নি তাদের। তুমি তাদেরকে আটকাবে না।(আমি)
.
–তারা আমাকে যাওয়ার আগে বলেই নি। শুধু এখানে একটা চিঠি পেয়েছি আজকে সকালে যে তারা যাচ্ছে। আর এখনো তারা ফিরে আসে নি।(হ্যারি)
।।।
।।।।
।।।
ব্যাপারটা মোটেও ভালো না। লুসি এবং লুসানা আমাদের অনেক কাছের বন্ধু দুজনের বিপদ নিয়ে আমার চিন্তা হচ্ছে অনেক। কারন তারা তো আর আমার মতো ক্ষমতাশালী না। যদিও আমি আগের দুনিয়ার, এই দুনিয়ায় আমার জন্ম হয় নি। কিন্তু তাদের তো এই দুনিয়াতেই জন্ম হয়েছে। তাই তারা যত চেষ্টা করুক তাদের জন্য মিলিটারির একজন অফিসারকে হারানোই অনেকটা কষ্টকর হবে। যদিও তারা লড়ার ক্ষেত্রে তেমন বেশী উপযোগী না। লুসি এবং লুসানার ম্যাজিকটা মূলত সাপোর্ট ম্যাজিক। যেটা অন্যদের সাহায্য করতে কাজে লাগে, তবে সেটা দিয়ে আক্রমনও করা যায়, যেটা আমি লক্ষ করেছি তাদের করতে। তবে তারপরও আমার চিন্তা হচ্ছে তাদের জন্য। যদিও লুসানা চেহারা বদলানোর ম্যাজিক জানে। তারপরও কেনো জানি একটা খারাপ ফিলিংস আসছে আমার কাছে।
।।।
।।।
.
–হ্যারি, প্যালেসে কি কোনো রকম পরিবর্তন হয়েছে?(আমি)
.
–তোমার তো এটা জানার কথা ছিলো।(হ্যারি)
.
–কি?(আমি)
.
–আমাদের রাজ্যের সমস্ত ভয়ানক মিলিটারি অফিসারদের একত্র করা হয়েছে প্যালেসে। এবং ক্যাপিটালে গুপ্তঘাতকদের সংখ্যা বারিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেই সাথে মারাত্মক সব রকমের অস্ত্রের ব্যবহার করা হচ্ছে, যেগুলো আমি আগে কখনো দেখি নি।(হ্যারি)
.
–এতো কিছু কিসের জন্য?(আমি)
.
–এ্যারসাকের সাথে সন্ধি চুক্তি করা হয়েছে, যেখানে এ্যারসাক, ইগড্রোলিয়া এবং হিমরার একসাথে কাজ করবে। তবে এ্যালকোর্ট সন্ধিতে চুক্তি করে নি। বরং তারা ডেভিল কিং এর সাথে চুক্তিতে যুক্ত হয়।(হ্যারি)
.
–এটা কখন হয়?(আমি তো এ্যালকোর্ট থেকে আজই আসলাম। তেমন কিছু খেয়াল করি নি সেখানে আজকে)
.
–আজ সকালেই ডেভিল কিং এবং এ্যালকোর্টের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়। যেখানে এ্যালকোর্টের পুরো রাজবংশকে মেরে ফেলা হয়। এবং সেখানে নতুন রাজা বসানো হয়।(হ্যারি)
।।।
।।।
।।।
হয়তো এজন্য আমি এ্যালকোর্টের ব্লাক স্মিথ যেখানে ছিলো সেই শহর পুরো খালিই দেখতে পেয়েছি, সবাই ভয়ে হয়তো আত্মগোপন করেছিলো। তবে শহরে অনেক সৈন্য ছিলো সেটা আমি লক্ষ করেছি।
.
–পরিস্থিতি অনেক খারাপ হচ্ছে। ডেভিল কিং আরসাককে আজই আন্ডারওয়ার্ল্ড বলে ঘোষনা দিয়েছে। এবং সেই সাথে নতুন কয়েকটা রাজ্য উৎপন্নের খবর ও পাওয়া গেছে।(হ্যারি)
.
–এসব খবর তো আর্কাইব থেকে পাওয়া যাচ্ছে তাই না?(আমি)
.
–হ্যা।(হ্যারি)
।।।
।।।
আর্কাইব শুধু মিশন দেওয়ার কাজ করে না। বরং সেটা পুরো দুনিয়ার সংবাদ সবার কাছে পৌছে দেওয়ার কাজও করে। প্রতিদিন আর্কাইবের সদস্যদের একটা পরিচয় পত্রে নতুন নতুন সকল খবর চলো আসবে, যেটা তারা শুনতে পারবে। জিনিসটা অনেক সুন্দর। আমার পরিচয় পত্রটাও হয়তো ব্যাগের মধ্যে কোথাও পরে আছে।
.
–প্রথমত আমি অবাক হয় এই খবর শুনে যে আমাদের দুনিয়ায় আসলেই কোনো রিয়েল ডিম্যান আছে সেটা শুনে। আমি আর্কাইবে থাকা বই থেকে পড়েছি, সত্যিকারের ডিম্যান এমন শক্তিশালী প্রানী যারা কয়েক লক্ষ বছর পূর্বেই ড্রাগনদের হাতে মারা গিয়েছে। তাদের শরীরে ছিলো অসংখ্য শক্তি। তাদের একজন চাইলে পুরো একটা শহর ধ্বংস করে দিতে পারবে।(হ্যারি)
.
–হ্যা ইতিহাস অনুযায়ী এই দুনিয়ায় সকল সত্যিকারের ডিম্যান হত্যা হওয়ার পর তাদের মধ্য থেকে বেশ কিছু দুর্বল ডিম্যান বেঁচে যায়, যাদের থেকে জন্ম নেই হাফ ডিম্যান।(আমি)
।।।।
।।।।
যদিও এরকম আগের দুনিয়ায়ও ছিলো। আগের দুনিয়ায় যারা ডিম্যান ছিলো তারাও এক সময় অনেকটা শক্তিশালী ছিলো। ডিম্যানদের রাজার ক্ষমতা একজন ডেভিল কিংবা এন্জেল কিং এর সমান ছিলো। তবে ডিম্যানদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো তাদের শারিরীক ক্ষমতার কারনেই, আর তাদের ডি এন এ থেকে পরে গবেষনা করে তৈরী করা হয়েছিলো হাফ ডিম্যানদের। ধারনা করা হতো পূর্বে মানুষের উপরেই হাফ ডিম্যান এর পরীক্ষা করা হয়েছিলো, যার কারনে হাফ ডিম্যানদের আকার মানুষের মতোই। অবশ্য জিনিসটা কতটা সত্য সেটা আমি জানি না। তবে আশা করা যায় এটাই সত্য।
.
–হ্যা আজকে সকালে একটা খবর এসেছে, নতুন রাজ্য তৈরী হয়েছে, কিন্তু এখনো আর্কাইব সিওর বলতে পারছে না। তারা ধারনা করছে সেটা ডিম্যানদের রাজ্য। কারন সেখানে অসংখ্যা ডিম্যানদের আকারের প্রানী দেখা গিয়েছে।(হ্যারি)
.
–ডিম্যানরা এই দুনিয়াতে মারা গিয়েছে। আমার মনে হয় না তারা কোনো ধরনের ডিম্যান হবে। তারপরও বলা যাচ্ছে না।(আমি)
.
–আর্কাইবও এখনো সঠিক তথ্য দিতে পারে নি।(হ্যারি)
।।।
।।।
হঠাৎ তখনি আমার মনের মধ্যে ড্রাকুলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। তার সাথে আমিও মনে মনে কথা বলতে শুরু করলাম।
.
–জ্যাক শুনতে পারছো?(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–একটা খারাপ খবর আছে।(ড্রাকুলা)
.
–সেটা আবার কি?(আমি)
.
–যেহেতু সবগুলো দুনিয়া একত্রিত হয়ে এই দুনিয়া তৈরী হয়েছে, তাই এইখানে আগের সব দুনিয়ার প্রানীই থাকার কথা।(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা। এতোদিন দক্ষিনের পর্বতের নিচে বিশাল গুহার মধ্যে ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোল বাস করতে ছিলো। তারা বাইরের দুনিয়ার সাথে যোগাযোগে আগ্রহী ছিলো না বলে কেউ তাদের সম্পর্কে জানতো না। তবে লোকি তাদেরকে একত্র করেছে, এবং তাদের মধ্য থেকে একজন রাজা নির্বাচন করে দিয়েছে। যার আদেশে পুরো ট্রোল এবং ফ্রস্ট জায়েন্ট এর সেনারা ইগড্রোলিয়াতে আক্রমন করতে প্রস্তুত।(ড্রাকুলা)
.
–হ্যা ব্যাপারটা অনেক খারাপ। আর্কাইব থেকে বলা হচ্ছে ডিম্যানদের কথা, যেহেতু ফুল সাইজ ডিম্যান এবং জায়েন্টদের আকার একই তাই তারা হয়তো চিনতে ভুল করছে।(আমি)
.
–দেখো বিষয়টা চিন্তার। জায়েন্টদের মাথায় তেমন বুদ্ধি না থাকলেও, তাদের শারিরীক ক্ষমতা কিন্তু সেই, একটা ফ্রস্ট জায়েন্ট এক আঘাতে পুরো ক্যাপিটালের প্যালেস ভেঙে দিতে পারবে।(ড্রাকুলা)
.
–আর ঝামেলা ভালো লাগে না। ফ্রস্ট জায়েন্ট তো সহজ ছিলো। কিন্তু সাথে ট্রোল ও। এই সবুজ ট্রোল গুলো মারাত্মক।(আমি)
.
–হ্যা। খবরটা তোমাকে দিতে চাই নি। তবে রানী এলিনা বলে দিতে বললো।(ড্রাকুলা)
।।।
।।।।
।।।
ভাবতেই অবাক লাগছে যে প্রিন্সেস রানী হয়ে গেলো। জিনিসটা ততটাও অস্বাভাবিক কিছু না। ড্রাকুলার মতো থরও রাজা কিংবা রানী সিলেক্ট করে একটা রাজ্য তৈরী করবে। আর সেটাই অনুসরন করেছে লোকি, যদিও সে কিছু সরাসরি করছে না। কিন্তু সব কিছু তার ইশারাতেই হচ্ছে। ভাবতেই অবাক লাগছে আগের দুনিয়াতে জায়েন্ট দের জন্য আলাদা একটা দুনিয়া ছিলো। মূলত লোকি ফ্রস্ট জায়েন্ট এর ছেলে। এটা ভাবতেও অবাক লাগে। কারন তার আকার সেরকম না মোটেও। তার আকার একটা সাধারন মানুষের আকারের মতো। দেখতে সে ততটাও শক্তিশালী নয়। তবে তার ক্ষমতা অনেক উচ্চ লেভেল এর। আগের দুনিয়ায় তার সাথে সরাসরি লড়ার ভাগ্য হয় নাই আমার। তবে তার বুদ্ধির প্রশংসা আমাকে করতেই হবে। অনেক কুবুদ্ধি তার মাথায় ঘুরে বেরায়। জানি না এখন কি ভাবছে সে। যেহেতু লোকি কিছু করছে, তাই আমার মনে হচ্ছে থর এটার বিরুদ্ধে কিছু করবে। তবে আমার মনে হয় না সরাসরি থর কিছু করবে। বরং সেও লোকির মতো একটা রাজ্য পরিচালনা করবে। যাইহোক ক্যাপিটাল এখন অনেক বিপদে আছে। আমাকে প্রথমত প্যালেসের পরিস্থিতি বুঝতে হবে গিয়ে। প্যালেসে ঢুকতে পারলে আমি জানতে পারবো আসলে কি হবে সেটা সম্পর্কে।
।।।
।।।
আপাতোতো এখানে থাকা ঠিক হবে না। তাই আমি বের হওয়ার জন্য পা দিলাম।
.
–হ্যারি, তুমি আমার সাথে চলো। আমরা প্যালেসে কিছুটা উঁকি মেরে আসি।(আমি)
.
–সেটা কিভাবে? তোমাকে তো দেখলেই চিনে ফেলবে।(হ্যারি)
.
–সেটার চিন্তা তোমাকে করতে হবে না। শুধু আমার কাধে তোমার হাত দাও। এবং নিজের মুখটা ঢেকে রাখো।(আমি)
.
–কেনো?(হ্যারি)
.
–আজকে অনেক খারাপ কিছু হতে পারে সেজন্য।(আমি)
।।।
।।।
আমি সাথে সাথে আমার এন্জেল ফর্মে চলে গেলাম। এবং টেলিপোর্টেশন স্পেল ব্যবহার করলাম। যেটা আমাকে সোজা পাঠিয়ে দিলো প্যালেসের গেইটের ভিতরে। আমার সাথে হ্যারিও এসেছে, আমাদের দুজনকে এভাবে হঠাৎ আসতে দেখে আশেপাশের সকল গার্ড তাদের হাতে থাকা বন্ধুক এর মতো অস্ত্র আমাদের মাথার উপরে তাক করলো। সামান্য নরাচরা দিলেই হয়তো গুলি আমাদের দিকে ছুরবে। যাইহোক গার্ডদের মাঝে অনেক বড় বড় অফিসার দেখতে পেলাম যাদের মধ্যে একজন আমাদের দুজনের দিকেই আসছে। তাকে কাছ থেকে দেখে চিনতে পারলাম। সে আমাদের মিলিটারি স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলো। তার নাম এলেক্স
।।।
.
–আমি কি ভুল দেখছি নাকি এটা তুমিই জ্যাক?(এলেক্স)
.
–সরি আপনি ভুল ভাবছেন। আমার নাম মাইকেল। এবং আমি একজন এন্জেল।(আমি মিথ্যা বললাম। এমনিতেও মাইকেল এর পরিচয়টা এখানে ভালো কাজে দিয়েছে)
.
–আমি দুঃখিত। আসলে একজন ছাত্র ছিলো আমার, যে দেখতে ঠিক আপনার মতোই। তো এ্যারসাকের একজন এন্জেল বিনা অনুমতিতে ইগড্রোলিয়ার প্যালেসে কি করছে জানতে পারি?(এলেক্স)
.
–রানী আফরিয়েল তার খবর পাঠিয়েছে আমার কাছে। ইগড্রোলিয়ার দিকে ফ্রস্ট জায়েন্ট এবং ট্রোলদের বিশাল একটা সেনা আসছে। যেটা ইগড্রোলিয়াকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারবে।(আমি)
.
–আমাদের মিলিটারি ক্ষমতা এতোটাও দুর্বল না। আপনার চিন্তার কোনো বিষয় নেই। তবে একটা কথা জানতে পারি, আপনি একজন এন্জেল হয়ে একজন ডেভিল এর সাথে ঘুরছেন কেনো? ব্যাপারটা অনেক সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।(এলেক্স)
।।।
।।।
এলেক্সকে বলদ বানাতে চাইলেও সে সহজে বলদ হওয়ার মতো না। যাইহোক আমি টপিক ঘুরালাম।
.
–আমি বাকি এন্জেলদের মতো না। আমি সবার থেকে আলাদা বলেই, রানী আফরিয়েল আমাকে বন্ধী করে রেখেছিলো সারাজীবন। দুনিয়ায় পা দেওয়ার পরে এই একটা ডেভিলের সাথেই আমার বন্ধুত্ব হয়।(আমি)
.
–অনেক আশ্চর্যকর বিষয়। আপনার মতো একই চেহারার এক প্রিন্স/রয়েল গার্ড রয়েছে যে একজন মানুষ। এবং সে রাজ্যের প্রিন্সেসকে অপহরন এর মামলায় জেলের মধ্যে আটক ছিলো। তবে তার সম্পর্কে কোনো প্রমান দেওয়া ছাড়ায় সে অন্য একটা আজব লোকের সাহায্যে জেলখানা থেকে পালিয়ে যায়।(এলেক্স)
.
–ব্যাপারটা অনেক খারাপ।(আমি)
.
–হ্যা। সেটা ঠিক। আমি বলবো আপনি সেই মানুষের মতো দেখতে, তাই যে কেউ আপনাকে তার সম্পর্কে ভুল ভাবতে পারে।(এলেক্স)
.
–ধন্যবাদ সেটা জানানোর জন্য।(আমি)
.
–তাহলে আমি যেটুকু জানছি, আপনি রানী আফরিয়েল এর আদেশে এখানে এসেছেন?(এলেক্স)
.
–হ্যা।(আমি)
.
–তাহলে আপনি আমার সাথে আসুন। বাকি টুকু রানী আফরিয়েল এর সাথে কথা হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।(এলেক্স)
।।।
।।।
যাক ব্যাপারটা মোটেও ভালো হচ্ছে না। প্যালেসের সিকিউরিটি অনেক বেড়ে গেছে। আর এতো বড় অফিসারদের আবুল বানানোও সহজ না। যেহেতু আমার চেহারায় সন্দেহ হচ্ছে তাই ব্যাপারটা রানী পর্যন্ত যাবে। জানি না রানী কি বলবে। তবে আমার সেদিকে কোনো চিন্তা নাই। কারন পুরো একটা রাজ্যও আমার পিছনে পরলে সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আর যতদূর আমার মনে হচ্ছে হয়তো খুব শীঘ্রই অনেক মারাত্মক লড়াই করতে হতে পারে, কিংবা নাও হতে পারে।
।।।।
।।।
।।

(((চলবে)))

।।
।।।
।।।।
অপেক্ষা করুন পরবর্তী পার্টের জন্য। কেমন হলো জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here